ঢাকা,সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪

চকরিয়ায় গ্রামীণ অঞ্চলে দেশজ সংস্কৃতি বিকাশে ১৮টি ইউনিয়নে সাউন্ড সিস্টেম বাদ্যযন্ত্র বিতরণ

চকরিয়ায় এলজিএসপি প্রকল্পের অর্থায়নে ইউনিয়ন পরিষদে সাউন্ড সিস্টেম বাদ্যযন্ত্র বিতরণ করছেন ইউএনও শিবলী নোমান।

এম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া ::

কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার প্রতিটি গ্রামীণ জনপদে দেশজ সংস্কৃতি, কৃষ্টি, সমকালীন শিল্প ও সাহিত্য সংরক্ষণ এবং সংস্কৃতি মনস্ক মেধাবী মানবসম্পদ গড়ে তোলার অভিপ্রায়ে উপজেলার ১৮টি ইউনিয়ন পরিষদে এবার সাউন্ড সিস্টেম বাদ্যযন্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। এলজিএসপি-৩ প্রকল্পের অর্থায়নে উপজেলার ১৮টি ইউনিয়ন পরিষদের সচিবের হাতে এসব উপহরণ তুলে দেওয়া হয়েছে।

শনিবার দুপুরে চকরিয়া উপজেলা পরিষদস্থ শহীদ হাবিলদার আবুল কালাম মিলনায়নে বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুরুদ্দিন মুহাম্মদ শিবলী নোমান।

অনুষ্ঠানে চিরিঙ্গা, ফাসিয়াখালী, হারবাং, বরইতলী, কাকারা, লক্ষ্যারচর, সুরাজপুর-মানিকপুর, বমুবিলছড়ি, ডুলাহাজারা, খুটাখালী, সাহারবিল, পশ্চিম বড়ভেওলা, বিএমচর, কোনাখালী, পুর্ববড় ভেওলা, ঢেমুশিয়া ও বদরখালী ইউনিয়ন পরিষদের সচিবরা উপস্থিত থেকে প্রধান অতিথি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার হাত থেকে সাউন্ড সিস্টেম বাদ্যযন্ত্র ও বিভিন্ন উপকরণ গ্রহন করেন।

বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নুরুদ্দিন মুহাম্মদ শিবলী নোমান বলেন, পশ্চিমা সংস্কৃতির বিরূপ প্রভাবে বাঙ্গালি জাতির প্রাচীণতম অনেক সংস্কৃতি বর্তমানে বিলুপ্ত হতে চলছে। এ অবস্থা থেকে উত্তোরণ ঘটাতে আমরা গ্রামীণ জনপদে দেশজ সংস্কৃতি, কৃষ্টি, সমকালীন শিল্প ও সাহিত্য সংরক্ষণ এবং সংস্কৃতি মনস্ক জাতি গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছি। সেই লক্ষ্যে এলজিএসপি-৩ প্রকল্পের অর্থায়নে প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদে সাউন্ড সিস্টেম বাদ্যযন্ত্র দেওয়া হচ্ছে।

তিনি বলেন, এখন থেকে গ্রামীণ জনপদের প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া উৎসব আয়োজনে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে এসব সামগ্রী সংগ্রহ করতে পারবে। এসব সাউন্ড সিস্টেম বাদ্যযন্ত্র ব্যবহার করে শিক্ষার্থীরা দেশজ সংস্কৃতি বিকাশে নিজেকে দক্ষ হিসেবে তৈরী করতে পারবে। পাশাপাশি এসব উপকরণ ব্যবহারের মাধ্যমে সবাইকে সংশ্লিষ্ট এলাকায় সরকারের উন্নয়ন-অগ্রগতি তুলে ধরতে হবে। তিনি অনুষ্ঠানে বিতরণকৃত এসব উপহরণ যত্মসহকারে রক্ষনাবেক্ষনের জন্য সকল ইউপি সচিবকে নির্দেশ দেন। ##

এম.জিয়াবুল হক

পাঠকের মতামত: